আমি গল্প লেখার মানুষ নই। যা লিখেছি—সেটা ঠিক গল্পও নয়। চেয়েছি—আমাদের শিশুদের মনে একটি পবিত্র স্বপ্ন আঁকতে। আমাদের কিশোরদের চেয়েছি স্বপ্ন দেখার জায়গাটা দেখিয়ে দিতে। এই বই পড়ে আমাদের আত্মার ধন শিশু-কিশোরেরা যদি ওই জায়গাটার প্রতি আগ্রহী হয়—তাহলেই মনে করবো—আমার চেষ্টা কাজে লেগেছে।
বেহেশত—আমাদের ধর্মের মূল প্রেরণার জায়গা। তাই বেহেশত সম্পর্কে যা খুশি বলা যায় না, লেখা যায় না। আমাদের অনেক সচেতন অভিভাবক আছেন—সন্তানের হাতে কোনো কিছু তুলে দেয়ার আগে—তার নির্ভরযোগ্যতার বিষয়ে নিশ্চিত হতে চান। সে কথা ভেবে কথার সঙ্গে পাদটীকায় তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছি।
০৯. ১০. ২০১৪ তারিখে ডায়েরির পাতায় লিখেছিলাম এমন একটি বই লেখার ইচ্ছের কথা। ওইখানে তার নাম ছিলো—‘রাজমহলের চাবি’। তারই অংশ হিসেবে ‘সোনারুপার গাছগাছালি’ নামে আমার একটি লেখা প্রকাশিত হয় কিশোরস্বপ্নে ২০১৭ সালে মে সংখ্যায়। তখন মনে মনে ভেবেছিলাম, লেখাটি শেষ করতে পারলে নাম দেবো—‘তোমরা সবাই রাজা’। দীর্ঘদিন পর লেখাটি শেষ করতে পেরে আমি আপ্লুত! আলহামদু লিল্লাহ!
বন্ধু লেখক সাহিত্যিক সম্পাদক ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী লেখাটা শেষ করার জন্যে যেভাবে রুটিন করে আমাকে জাগিয়ে রেখেছেন—ভেবে অবাক হই। তাঁর ছাত্র মিষ্টি চঞ্চল তরুণ আলেম লেখক মাওলানা আবদুর রহমান ফারুকী সাহেবের উষ্ণ কোমল তাড়া না পেলে—আমার আরও অনেক লেখার মতো—সোনারুপার গাছগাছালিও পড়ে থাকতো পুরোনো রচনার ‘বন্ধু শিবিরে’।
প্রিয় বন্ধু লেখক চিন্তক ও সুমানুষ ফয়জুল্লাহ ভাইয়ের কথা মনে পড়ছে! এই বই লেখার জন্যেই তিনি আমাদের ভাওয়াল রাজার বাড়ি ঘুরে দেখিয়েছেন। বই সংগ্রহ করে দিয়েছেন! বন্ধুদের এইসব ‘দেনা’ই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন!
বইটি প্রকাশের ভার নিয়েছে ‘কানন’। কানন—নতুন এবং সুন্দর। কাননে সবুজ ছায়া অনেক দূর প্রসারিত হোক—এই কামনা করি।
আল্লাহ আমাদের এবং আমাদের আত্মার ধন সন্তানদের দুনিয়া আখেরাতের সব কল্যাণ নসিব করুন। নিবাস দান করুন তাঁর অসীম রহমতের ছায়ায়—বেহেশতে। আমিন।