লেখকঃ | |
---|---|
অনুবাদকঃ | |
প্রকাশনীঃ | |
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ | |
ধরনঃ |


তাবেঈদের ঈমানদীপ্ত জীবন (সবখণ্ড একত্রে)
৳ 330
একবার ইমাম আবু হানীফার কাছে এক বৃদ্ধা এসে বলল,
‘আমাকে একটি রেশমি কাপড় দেখান।’
কাপড় দেখে বৃদ্ধার পছন্দ হলে তিনি বললেন,
‘আমি বৃদ্ধা মানুষ…
দরদাম কিছু আমার জানা নেই…
আপনার আমানতদারীর ওপর ছেড়ে দিলাম।
আপনার ক্রয়মূল্যের ওপর সামান্য লাভ নিয়ে কাপড়টি আমাকে দিন।
বলুন কত দাম দেব?’
আবু হানীফা রহ. বললেন,
‘আমি একসঙ্গে দুটি কাপড় কিনেছিলাম। মোট ক্রয়মূল্যের চেয়ে চার দিরহাম কমে একটি কাপড় ক্রয় করেছি। আপনাকে লাভ দিতে হবে না। আমার ক্রয়মূল্যের অবশিষ্ট চার দিরহাম দিয়ে নিয়ে যান।’
–
ইমাম আবু হানীফার জনৈক সঙ্গী বলেছেন,
আমি একবার দেখলাম আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক ইমাম সুফিয়ান সাওরীকে বললেন,
‘হে আবদুল্লাহ! গীবতের ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফার সাবধানতা কেমন জানেন? আমি কখনোই তাকে নিজের শত্রুরও সমালোচনা করতে শুনিনি।’
সুফিয়ান সাওরী বললেন,
‘ইমাম আবু হানীফা রহ. ছিলেন বিচক্ষণ মানুষ, তাই বোকার মতো এমন কাজ তিনি কখনোই করতেন না, যা তার নেক কাজগুলো ধ্বংস করে দেয়।’
–
ইমাম আবু হানীফা নিয়মিত রোযা রাখতেন…
রাতভর নামাযে মশগুল থাকতেন…
খুব বেশি কুরআন পড়তেন। রাতের শেষ প্রহরে ইসতেগফার পড়তেন।
একবার একদল লোকের পাশ দিয়ে যেতে যেতে তিনি শুনতে পেলেন তারা বলাবলি করছে,
‘এই যে লোকটিকে দেখতে পাচ্ছ তিনি প্রায় সারারাত জেগে থাকেন। না ঘুমিয়ে রাতভর আল্লাহ পাকের ইবাদত করেন।’
লোকদের এই কথা তার কানে যেতেই তিনি আফসোস করতে লাগলেন,
হায় আল্লাহ! আমার ব্যাপারে তাদের কতই না ভ্রান্ত ধারণা! যা আমি নই তাই তারা বলছে।
যেন আমার সম্পর্কে তাদের ধারণা অবাস্তব হতে না পারে, এখন থেকেই আমি অবাস্তব ধারণা বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ।
আজ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কখনোই রাতে ঘুমাব না।’
–
প্রসিদ্ধ আছে যে তিনি এশার অযু দ্বারা ফজরের নামাজ পড়েছেন প্রায় চল্লিশ বছর। এর মধ্যে কখনো একবারের জন্যও ব্যতিক্রম ঘটেনি।
যেই স্থানে তার মৃত্যু হয়েছে সেই জায়গায় তিনি সাত হাজারবার কুরআন খতম করেছেন।
In stock

In stock