প্রশংসা ও স্তুতির সবটুকুই আল্লাহ তাআলার জন্য নিবেদিত। অসংখ্য দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হােক সরদারে দোআলম, সায়্যিদুল মুরসালিন প্রাণাধিক প্রিয়, হৃদয়ের স্পন্দন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর। আরবি ‘সুহবত’ শব্দ থেকে ‘সাহাবি’ শব্দটি এসেছে। আভিধানিক অর্থ সঙ্গী, সাথী, সহচর। ইসলামী পরিভাষায় ‘সাহাবা’ শব্দটি দ্বারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মহান সঙ্গী-সাথীদের বােঝায়।
সাহাবিগণ সত্যের, ন্যায়ের মাপকাঠি। একেকজন আকাশের এক একটি তারকার মতাে। তাদের পরস্পরের মধ্যে মর্যাদা হিসেবে স্তরভেদ থাকতে পারে, কিন্তু পরবর্তী যুগের এমন কোনাে মুসলমান, তা তিনি যত বড় জ্ঞানী, গুণী ও সাধক হােন না কেন কেউই একজন সাহাবির মর্যাদা লাভ করতে পারেন না। এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআন, সুন্নাহ এবং ইজমা একমত। স্মরণীয় যে, সাহাবিরাই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর উম্মতের মধ্যে প্রথম মধ্যসূত্র। পরবর্তী উম্মত আল্লাহর কালাম পবিত্র কুরআন, কুরআনের ব্যাখ্যা, আল্লাহর রাসুলের পরিচয়, তাঁর শিক্ষা, আদর্শ, মােটকথা দীনের সব কিছুই একমাত্র তাঁদেরই সূত্রে, তাঁদেরই মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। সুতরাং এই প্রথম সূত্র উপেক্ষা করলে, বাদ দিলে অথবা তাঁদের প্রতি অবিশ্বাস সৃষ্টি হলে দীন, শরিয়তের মূল ভিত্তিই ধসে পড়ে। কুরআন ও হাদিসের প্রতি অবিশ্বাস দানা বেঁধে ওঠে। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি রাসুলের এই প্রিয় সাহাবিদের জীবনের নানা গল্প-ঘটনারই অপূর্ব