আদি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। বিরাট বড়লোকের ছেলে। দ্বীনে আসার পর বাবার অবৈধ আয়-উপার্জন তাকে আর চুপ থাকতে দেয় না। প্রতিবাদ করে। তখনই ঘটে বিপত্তি। বাবার প্রাসাদোপম বাড়ি থেকে তাকে বিতাড়িত হতে হয়।
প্রাসাদ ছেড়ে এসে, অতি সাধারণ একটা মেসে শুরু হয় আদি’র সাদাসিধে জীবন। যে জীবনে প্রাচুর্য নেই; কিন্তু হৃদয়ভরা প্রশান্তি আছে। আছে স্রষ্টাকে নিয়ে ভাবার অফুরন্ত উপকরণ।
…অন্যের উপকারের ভাবনা আদিকে তাড়িয়ে বেরায়। এই ভাবনা তাকে নিয়ে যায় সিলেটের শ্রীমঙ্গলে। একজন ইমাম সাহেবের উপকার করতে গিয়ে মহা সংকটে পড়ে আদি।
…’আদি’ আমাদের গল্পের মূল ভাবনা হলেও, ইমাম সাহেবই যেন ছড়িয়ে আছেন এই গল্পের ‘অন্তে’। ইমাম সাহেবকে খুঁজতে গিয়ে ঘটতে থাকে নানান বিচিত্র ঘটনা! একে একে সামনে আসতে থাকে চরম কিছু বাস্তবতা। কে এই ইমাম!
…ট্রেনে আদির সঙ্গে পরিচয় হয় একজন বই-বালকের। স্মার্টফোনের এই যুগেও বইয়ের পাতায় ডুবে থাকাই যার নেশা। এই নেশার আড়ালে তার অন্য কোনো পেশা নেই তো!…কে এই বালক!!
…আদির ব্যাগ চুরি হয় ট্রেনেই। ব্যাগে ছিল জরুরি কিছু কাগজপত্র আর নগদ টাকা। ব্যাগ হাতিয়ে নেওয়াই চোরের উদ্দেশ্য ছিল না। তাহলে উদ্দেশ্যটা কী!
কিছু বিভ্রাট। কিছু রোমাঞ্চ। অনেক রহস্য। আর, কিছু চরম সত্যের মুখোমুখি নিয়ে দাঁড় করাবে পাঠককে।