নবীজি (ﷺ) এমন ঘরে রাতের নামায আদায় করতেন যেখানে আরাম-আয়েশের লেশমাত্র ছিলো না। তাঁর ঘরে ছিলো না কোন আলোর বন্দোবস্ত। খড়ের চাটাই কিংবা স্ত্রীর তোশকই ছিলো তাঁর সিজদার স্থান। নবীজি (ﷺ)-এর সালাত আদায়কালে তাঁর স্ত্রী তাঁর সামনে শুয়ে থাকতেন। যখন তিনি সিজদায় যেতে চাইতেন তখন স্ত্রীকে স্পর্শ করলে স্ত্রী তার পা সরিয়ে নিতেন। নবীজি (ﷺ) দাঁড়িয়ে গেলে তিনি আবার তাঁর পা প্রসারিত করতেন।
কদাচিৎ নবীজি (ﷺ) মসজিদে রাতের সালাত আদায়ের জন্য যেতেন। খুব সম্ভবত তাঁর স্ত্রীর ঘুম যাতে ভেঙ্গে না যায় একারনেই তিনি মাঝে মাঝে মসজিদে যেতেন। আয়িশা রা. বর্ণনা করেন, “আমি এক রাতে নবীজিকে বিছানায় না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের হলাম। আমার হাত তাঁর পায়ের পাতা স্পর্শ করলো যেহেতু তাঁর পদযুগল খাড়া হয়ে ছিল। তিনি বলছিলেন,
“হে আমার রব! আমি তোমার অসন্তুষ্টির বদলে সন্তুষ্টি ভিক্ষা চাইছি, তোমার শাস্তির বদলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি তোমার কাছে তোমার শাস্তি হতে পানাহ চাইছি। আমি তোমার প্রশংসা গুণে শেষ করতে অপারগ। তুমি নিজের যেরূপ প্রশংসা করেছো আমিও তদ্রুপ তোমার প্রশংসা বর্ণনা করছি।” [আবূ দাউদঃ ৮৭৯]