জিন ও শয়তান—দুটো ব্যাপার নিয়ে আমাদের আগ্রহ আর ফ্যান্টাসিরও শেষ নেই। জিন-ভূতের কাহিনি শুনে ভয়ে তটস্থ হয়নি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। সময় পাল্টেছে, এখন বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির জয়জয়কার; তাই আমাদের মাঝেই একটি প্রজন্ম তৈরি হয়ে গেছে, যারা জিন ও শয়তানের ব্যাপারটাকে হলিউডের ফ্যান্টাসি জগৎ ছাড়া আর কিছু মনে করে না, কিংবা সহজভাবে বললে বিশ্বাস করে না। আবার বানোয়াট, অতিরঞ্জিত কাহিনি ফেঁদে অনেকেই পুরো আলোচনাটাকেই রূপকথার গালগল্প বানিয়ে ছাড়ে। অথচ ব্যাপারটা মোটেই হালকা কোনো বিষয় নয়। এটা ইসলামের মৌলিক আকিদার অন্তর্ভুক্ত, যা অস্বীকার করলে একজন মানুষ ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যেতে পারে।
বইটিতে জিন, শয়তান এসবের খুঁটিনাটি, দালিলিক এবং গোছানো আলোচনা রয়েছে। আমাদের মনে জিন, শয়তান এসব নিয়ে যেসব প্রশ্ন, সংশয় আসে, ঠিক সেভাবেই যেন ‘জিন ও শয়তানের জগৎ’ বইটা সাজানো। যেমন—জিন বলে কি আসলেই কিছু আছে, তারা কি মানুষ, নাকি ফেরেশতা? জিন আর শয়তান কি একই? তারা কোথায় থাকে? কী খায়? তাদের কী কী ক্ষমতা আছে? তারা কি মানুষের উপর আছর করতে পারে? এটা কি সত্য? তারা কীভাবে মানুষকে পথভ্রষ্ট করে? এই যে এত প্যারানরমাল ঘটনা ঘটে তার ব্যাখ্যা কী; ইত্যাদি নানান সব প্রশ্ন, যা আমাদের মনে সবসময় উঁকি দেয়, মনে সন্দেহ-সংশয় তৈরি করে।