এসো জান্নাতের গল্প শুনি
৳ 105
লেখক : তানবীর হাসান বিন আব্দুর রফিক
প্রকাশনী : আযান প্রকাশনী
সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
পৃষ্ঠা: ১৩৭
বয়স সীমা: ৭+ শিশু-কিশোরদের জন্য উপযোগী
In stock
In stock
In stock
‘এসো জান্নাতের গল্প শুনি’ বইটি ছোটদের জন্য লেখা জান্নাতের বর্ণনা সম্বলিত বই। এখানে গল্পের মাধ্যমে শিশুরা জান্নাতের বিভিন্ন পুরষ্কারের কথা শিখতে পারবে।
‘এসো জান্নাতের গল্প শুনি’ এর চুম্বকাংশ
প্রিয় বন্ধুরা,
এতো সুন্দর জান্নাতে জান্নাতীরা যখন ঢুকবে তখনই তাঁদের চোখে পড়বে সুন্দর দরজা, সেটি জান্নাতের দরজা। জান্নাতের কয়টা দরজা জানো? আল্লাহর রসূল মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
‘’জান্নাতে আটটি দরজা আছে। সেখানে একটি দরজার নাম হলো রইয়্যান। তা দিয়ে রোযাদাররা ছাড়া আর কেউ ঢুকবে না।’’
এ দরজা দিয়ে রোযাদারদের কীভাবে ঢুকানো হবে জানো? প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
‘’জান্নাতে একটি দরজা আছে যাকে রইয়্যান বলা হয়। কিয়ামাতের দিন তা দিয়ে রোযাদাররা ঢুকবে। তা দিয়ে তাঁরা ছাড়া আর কেউ ঢুকবে না। বলা হবে, রোযাদাররা কোথায়? তাঁরা দাঁড়িয়ে যাবে। সে দরজা দিয়ে তাঁরা ছাড়া আর কেউ ঢুকবে না। তাই তাঁরা যখন ঢুকবে তখন দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। তাই তা দিয়ে আর কেউ ঢুকবে না।’’
তোমাদের আগেই বলেছিলাম মানুষ মারা যাওয়ার পর তাদের সকলের হিসাব নেওয়া হবে। সেই হিসাবের দিনটাকে কিয়ামাতের দিন বলে। সিয়াম বা রোযা কাকে বলে জানো তো? তোমরা হয়তো দেখে থাকবে, তোমাদের বড় যারা আছে; আব্বু-আম্মু, দাদা-দাদী, নানা-নানী পুরো এক মাস সিয়াম বা রোযা রেখে থাকেন। সারাদিন তাঁরা না খেয়ে থাকেন আল্লাহকে খুশি করার জন্য। পুরো মাস শেষ হলে আসে আনন্দের ঈদ। একে ঈদুল ফিত্র বলে। আমরা অনেকে রোযার ঈদও বলে থাকি। এই যে দেখো, আল্লাহর জন্য এক মাস কষ্টের পর কতো মজার ঈদ আমাদের সামনে চলে আসে!
শুনো, প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে ছোট ছোট বাচ্চারাও বড়দের দেখে দেখে রোযা রাখতো। তাদের আব্বু-আম্মুরা তাদের বিভিন্ন খেলনা বানিয়ে দিতেন, যেগুলো দিয়ে তাঁরা খেলতে থাকতো। এভাবে খেলতে খেলতে দিন চলে যেত।