সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম সত্য ও ন্যায়ের মাপকাঠি। একেকজন আকাশের একেকটি তারকার মতাে। তাদের পরস্পরের মধ্যে মর্যাদা হিসেবে স্তরভেদ থাকতে পারে; কিন্তু পরবর্তী যুগের এমন কোনাে মুসলমান তিনি যতাে বড়াে জ্ঞানী, গুণী ও সাধক হােন না কেন, কেউই একজন সাহাবির মর্যাদা লাভ করতে পারবে না। এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআন, সুন্নাহ এবং ইজমা একমত। চিন্তার বিষয় হলাে, সাহাবায়ে কেরামই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাম ও তাঁর উম্মতের মধ্যে প্রথম মাধ্যমসূত্র। পরবর্তী উম্মত পবিত্র কুরআন, কুরআনের ব্যাখ্যা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিচয়, তাঁর শিক্ষা, আদর্শ—মােটকথা দ্বীনের সবকিছুই। একমাত্র তাদেরই সূত্রে, তাঁদেরই মাধ্যমে জানতে পেরেছে। সুতরাং তাঁদের উপেক্ষা করলে, বাদ দিলে অথবা তাদের প্রতি অবিশ্বাস সৃষ্টি হলে দ্বীন তথা শরিয়তের মূল ভিত্তিই ধসে পড়ে, কুরআন ও হাদিসের প্রতি অবিশ্বাস দানা বেঁধে ওঠে।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে কারিমে 235 adu। ৫৬, বলে। যাঁদের কথা বুঝিয়েছেন, যাঁদের ওপর নিজের সন্তুষ্টির কথা ব্যক্ত করেছেন; তাঁরা হলেন সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম। যাদের চরিত্র-আদর্শের সার্টিফিকেট স্বয়ং আহকামুল হাকিমিন কর্তৃক স্বীকৃত। সুতরাং মানবজীবনে সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের আদর্শের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
এছাড়াও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তম আদর্শের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন। উত্তম আদর্শ হলাে— ما أنا عليه وأصحابه ‘আমি ও আমার সাহাবিগণ যে আদর্শের ওপর রয়েছে। সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম হলেন, সেসব মহামনীষী যারা পৃথিবীতেই জান্নাতের সুসংবাদ লাভ করেছেন। সুতরাং মুসলিম নর-নারীর জীবনে সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের আদর্শের কোনাে বিকল্প হতে পারে না।